পৃথিবীর সবচেয়ে দামী আতর কোন দেশে পাওয়া যায়?
– কেউ যদি আপনাকে এই প্রশ্ন করে আপনি চোখ বন্ধ করে বাংলাদেশের নাম বলতে পারবেন। মিডিয়ার কল্যাণে বিষয়টি অজানা নয়।
.
গাছের প্রাণ আছে, অনুভূতি আছে ৪র্থ শ্রেণীতে প্রথম জানলাম। তারা ব্যাথ্যা পায়, বিনা প্রয়োজনে গাছের পাতা ছেড়া পর্যন্ত ইসলামে নিষিদ্ধ। অথচ আঠারো হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষ ব্যতীত সকল প্রাণীকে মানুষের সেবার জন্যই সৃষ্টি করেছেন।
সৃষ্টির শুরু থেকেই গাছের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। সুগন্ধি শিল্পেও এই গাছ-ই ছিল একমাত্র ভরসা। বিভিন্ন প্রকার সুগন্ধির উৎস ছিল নানা ধরনের ফুল, ফল, গুল্ম, গাছের নানা অংশ।
.
তেমনি একটি গাছ হচ্ছে আগর গাছ। এই গাছকে প্রসেসিং করে এক ধরনের তেল বের করা হয়। এটাই পরবর্তীতে সুগন্ধী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আগর শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো উৎকৃষ্ট বা সুগন্ধি বিশিষ্ট কাঠ। ইংরেজিতে এর নাম এলো ওড (Aloe Wood বা Wagle Wood), আরবিতে বলে উদ, দক্ষিণ এশিয়ায় পরিচিত নাম গাডরউদ, মালয়েশিয়ান ভাষায় গাহারু, হারবাল ইউনানি চিকিৎসায় এর নাম উদহিন্দ এবং আয়ুর্বেদিক ভাষায় অগুরু বলে পরিচিত ও সমাদৃত। বাংলা, আরবি এবং ফারসিসহ বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রণে অপভ্রংশ হয়ে আগর নামটির উৎপত্তি হয়েছে। পৃথিবীতে কবে কোথায় আগর-আতরের চাষাবাদ শুরু হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস বের করা মুশকিল। তবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রেইন ফরেস্টই আগর গাছের আদিস্থান হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। আগর গাছ থেকে বিশেষ কালো রঙের কাঠ পাওয়া যায়, যা আগর কাঠ নামে পরিচিত। স্থানীয় ভাষায় যা ‘মাল’ বলে অভিহিত করা হয়। স্থানীয়ভাবে যারা আগর কাঠ শনাক্ত করেন তাদের ‘দৌড়াল’ বলা হয়।
.
বাংলাদেশে মূলত Aquilaria agallucha Ges Aquilaria malaccenesis এবং Aquilaria malaccenesis প্রজাতির আগর গাছ চাষ হয় ট্যাক্সোনোমিকেলি আগরগাছ Thymelaeaceae পরিবারের অন্তর্গত। আগর গাছ লম্বায় প্রায় ১৫ থেকে ৪০ মিটার এবং বেড় বা ব্যাস ০.৬-২.৫ মিটার হয়। শাখা-প্রশাখবিহীন সোজা লম্বা গাছটি দেখতে এবং আকার আকৃতিতে অনেকটা শাল বা গজারি গাছের মতো। এ গাছে সাদা রঙের ফুল এবং ফলগুলো ক্যাপসুল আকৃতির হয়। আগর গাছের পাতা দেখতে অনেকটা লিচু গাছের পাতার মতো, অনেকে বকুল গাছের পাতার সাথেও মিলাতে পারেন। সাদা রঙের আগর কাঠ খুব নরম হয়।
প্রাকৃতিক পদ্ধতি : প্রাকৃতিক উপায়ে আগর গাছ হতে আগর উৎপন্ন হতে প্রায় ২৫-৩০ এমনকি ৫০ বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে আগর গাছের বয়স ৫-১০ বছর থেকেই গাছে আগর জমা হতে থাকে। এক্ষেত্রে গাছের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালো বর্ণ ধারণ করে। দেখতে ছোপ ছোপ আকারে অনেকটা সারি কাঠের মতো। তবে সারি কাঠ যেমন অনেকটা বা পুরোটা অংশজুড়ে কালো হয় এক্ষেত্রে ঠিক তেমনটি হয় না। আগর গাছে নির্দিষ্ট স্থানে কালো হওয়া শুরু হলে তা পূর্ণ হতে প্রায় ৪ থেকে ৬ বছর লেগে যায়। এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি। গাছের এ কালো অংশকেই বলা হয় আগর বা আগর কাঠ।
কৃত্রিম পদ্ধতি : এক ধরনের কা-ছেদক পোকা আগর গাছে ছিদ্র তৈরি করে পরে সেখানে ছত্রাকের আক্রমণে গাছ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে গিয়ে জৈবনিক প্রক্রিয়ায় আগর গাছের ওই ক্ষত স্থানের চারপাশে বাদামি-কালো রঙের আস্তরন তৈরি হয় যা আগর উৎপাদনের মূল উপকরণ। এ ধারণাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ কৃত্রিমভাবে পেরেক মেরে ক্ষত সৃষ্টি করে, ফলে সেখানে আগর সঞ্চিত হয়।
-7%
Agar Oud(ASSAM)
৳ 4,200.00 – ৳ 8,400.00
Size and packaging guidelines
Specification | Chair | Armchair | Sofas |
Height | 37" | 42" | 42" |
Width | 26.5" | 32.5" | 142" |
Depth | 19.5" | 22.5" | 24.5" |
Assembly Required | No | No | Yes |
Packaging Type | Box | Box | Box |
Package Weight | 55 lbs. | 64 lbs. | 180 lbs. |
Packaging Dimensions | 27" x 26" x 39" | 45" x 35" x 24" | 46" x 142" x 25" |
Description
Additional information
Weight | N/A |
---|---|
Weight | 12ml, 3ml, 6ml |
Reviews (0)
Be the first to review “Agar Oud(ASSAM)” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.